অভাবে নয় সভাবে চুরি করতে গিয়ে রাত দুপুরে ধরা পড়লেন চোর বাবাজি
সৌভিক সাহা , সোনারপুর , কলকাতা – সবে বাজেট পেশ হলো দেশে , সাধারণ মানুষ বলছেন এই বাজেট এ সাধারণের জন্য কিছু নেই অপরদিকে জগৎ প্রকাশ নাড্ডা জি বলেছেন এই বাজেট “গরিব কল্যাণ” বাজেট। কিন্তু এসবের মধ্যে এমনও কিছু মানুষ আছেন যারা অভাবে নয় সভাবে চুরি করতে সিদ্ধহস্ত।
দক্ষিণ বিবিরচক গ্রামের গোবিন্দপুর অঞ্চলে এমনি ঘটনা ঘটে গত কাল রাত ২টার সময়। এলাকাবাসীরা দীর্ঘদিন ধরেই দেখতেন তাদের শখের বাগানের সব ফল মূল কারা রাতের অন্ধকারে একদম সাবাড় করে দিচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল এই চোরেদের ধরার ফিকির। অবশেষে ১লা ফেব্রুয়ারী রাতে যদু ঘোষের শখের বাগানে চুরি করতে গিয়ে হাথে না হাথে ধরা পরে যায় রাতের অন্ধকারে বাগান সাফ করার জাদুকর – প্রভাত ঘোষ।
বাগান মালিক যদু ঘোষ আমাদের জানান ”দীর্ঘদিন ধরেই আমার সাধের বাগান তছ নছ করছিলো কিছু অসামাজিক চোরের দল আর তাদের ধরার জন্য অনেকবারই ফাঁদ পেতে শীতের রাতে পাহারা দিয়েছি কিন্তু ধরতে পারিনি। ১ তারিখ রাতে অবশেষে ধরতে পারি একজন চোর কে আর তারপর দু চার চোর মেরে বাড়ির দিকে আনার সময় বাকি বাগান মালিক ও পাড়া প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে ধোলাই দেয় চোরকে। আমি পুলিশ এ খবর দিয়ে ধরিয়ে দিই প্রভাত ঘোষ নামক চোর টাকে”
সচ্ছল পরিবারের অংশ এই চোর প্রভাত ঘোষ বাবাজি , তার বাবার নাম গনেশ ঘোষ। এলাকার মানুষজন জানান সত্যি সভাবে চুরি করতেন তিনি এবং এই নিয়ে একরাশ বিরক্তি উগরে দেন তারই প্রতিবেশীরা।
সত্যি এই যুগে এখনো অনেকেই এমন আছেন যারা অভাবে নয় সভাবে চুরি করেন কিংবা বলা যেতে পারে শুধুই কিছুটা খামখেয়ালিপনা। তবে দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ করে বহু লোকের বাগানই সাবাড় করেছেন বলে এই দিন ধরা পড়ার সাথে সাথেই সাধারণ মানুষ ও বাগান মালিকরা উত্তম মধ্যম পিটিয়েছেন বলে শোনা গেছে এবং সোনারপুর থানার হাথে তুলে দেওয়া হয়ে। এখন এই চোর বাবাজি ভর্তি আছেন চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে। এখন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পর এই চোর বাবাজি কি আবার এই স্বভাব বসত চুরির কাজে নামবেন নাকি সুস্থ জীবন যাপন করবেন সেটাই দেখার
Chor tir anumanik 10-11 bigha piyara bagan achhe. Amar bagan theke o churi korto kintu dorte parini.