ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে মর্মান্তিক দৃশ্য।সারি সারি পড়ে রয়েছে সাদা থানে মোড়া একাধিক দেহ। প্রতীকী লাশের অভিনব প্রতিবাদ নবম- দশম এবং একাদশ- দ্বাদশ স্তরের মেধাতালিকা ভুক্ত অথচ চাকরি থেকে বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের।ধর্ণারত বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদেরগণ জানিয়েছেন যে ,তাদের ন্যায্য চাকরি ফিরে না পেলে হয়তো এই প্রতীকি লাশ বাস্তবে পরিণত হবে
ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে মর্মান্তিক দৃশ্য।সারি সারি পড়ে রয়েছে সাদা থানে মোড়া একাধিক দেহ। প্রতীকী লাশের অভিনব প্রতিবাদ নবম- দশম এবং একাদশ- দ্বাদশ স্তরের মেধাতালিকা ভুক্ত অথচ চাকরি থেকে বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের।ধর্ণারত বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদেরগণ জানিয়েছেন যে ,তাদের ন্যায্য চাকরি ফিরে না পেলে হয়তো এই প্রতীকি লাশ বাস্তবে পরিণত হবে। বেকারত্বের যন্ত্রণা বুকে নিয়ে রাঘো সি্্, অতনু মিস্ত্রি,বাবু দলুই এর মতো শিক্ষিত বেকারগণ ইহজগৎ ছেড়ে চলে যাওয়া যুবকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হলো যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের ব্যানারে পরিচালিত ধর্ণা মঞ্চে।ধর্ণারত বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীগণ রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন রেখে বলেছেন যে রাঘো সি্্, অতনু মিস্ত্রি,বাবু দলুইদের মতো তাদের একই পথে যেতে যাতে না হয়।ধর্ণারত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের অভিযোগ, তারা মেধাতালিকা ভুক্ত সামনের Rank এ থাকা চাকরি প্রার্থী হয়েও চাকরিতে এখনও নিয়োগপত্র পাননি অথচ তাদের পিছনের Rank এ থাকা বহু প্রার্থীদের চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মেধাতালিকায় কোথাও নাম নেই এমন ফেলকরা বহু প্রার্থীদের ও চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছে এমনটাই তাদের অভিযোগ। ধর্ণারত বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের দাবি মেধাতালিকা ভুক্ত সকল চাকরি প্রার্থীদের অতি দ্রুত চাকরিতে নিয়োগ করতে হবে। ধর্ণারত বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীগণ জানিয়েছেন যে ২০১৯ সালে কলকাতার প্রেসক্লাবের সামনে যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের ব্যানারে তারা ২৯ দিন ব্যাপী অনশন ও করেছিলেন। উক্ত মঞ্চে রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়া স্বয়ং উপস্থিত হয়ে অনশনরত বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের আশ্বাস দিয়েছিলেন যে মেধাতালিকা ভুক্ত কোন চাকরি প্রার্থীদের বঞ্চিত করা হবে না। প্রয়োজনে আইনের কিছু পরিবর্তন করে হলেও মেধাতালিকা ভুক্ত অথচ বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের চাকরিতে নিয়োগের সুব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু ২০১৯ সালে দেওয়া রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস ২০২২ সালে এসেও কার্যকর হয়নি, চাকরিতে নিয়োগপত্র পাননি বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীগণ। এমনটাই জানিয়েছেন তারা। যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের স্টেট কো- অর্ডিনেটর সুদীপ মন্ডল বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের পক্ষ থেকে রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে কাতর আবেদন রেখেছেন।