গত ১৭ ই জুলাই আন্তর্জাতিক কুসুম কবিতা উৎসব, ২০২২ অনুষ্ঠিত হল কৃষ্ণপদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট হলে।
কুসুম সাহিত্য পত্রিকার বর্ষা সংখ্যার মোড়ক উন্মোচনের সাথে সাথে বেশ কয়েকজন কবির কয়েকটি একক বই প্রকাশিত হয় মঞ্চে। মঞ্চে বিশেষ অতিথির পদ অলংকৃত করেন আনন্দ পাবলিকেশন এর কর্ণধার নিগমানন্দ মন্ডল, চিত্র পরিচালক অজন্তা দেববর্মন ও বিশিষ্ট কবি দিলীপ রায় মহাশয়। সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন সুমিষ্ট গায়িকা সুলেখা দত্ত। কুসুম সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদিকা গৌরী রায়চৌধুরী সম্পাদিত বর্ষা সংখ্যাটির মোড়ক উন্মোচনের পাশাপাশি কবি সাহিত্যিকদের উৎসাহ প্রদানের জন্য ছিল নানান সম্মাননা। যেমন সারা বাংলা কবিতা প্রতিযোগিতার জন্য মেমেন্টো ও সার্টিফিকেট এবং কাব্য ভাস্কর সম্মাননা, ২০২২। সেরা আবৃত্তিকারের জন্য ছিল মেমেন্টো সার্টিফিকেট ও সেরা আবৃত্তিকার সম্মাননা ২০২২। সাহিত্যের উৎকর্ষতা সাধনের বিচারে ছিল মেমেন্টো সার্টিফিকেট ও কাব্য মঞ্জুরী সম্মাননা ২০২২। সুসাহিত্যিকদের জন্য ছিল মেডেল সার্টিফিকেট ও কাব্য কুসুম সম্মাননা ২০২২। এছাড়া প্রতি কবিকে কবি প্রতিনিধি হিসাবে ব্যাজ ও খাবারের প্যাকেট দিয়ে সম্মানিত করা হয়। সেরা কবিতা আবৃত্তিকারদের সেদিন মঞ্চে তার সেরা কবিতাটি পাঠের সুযোগ দেওয়া হয়। প্রায় শতাধিক কবির সাড়ম্বর উপস্থিতিতে সমগ্র অনুষ্ঠানটি সাফল্য মন্ডিত হয়ে ওঠে। সমগ্র অনুষ্ঠানটির ছবি তুলে নিজ দায়িত্ব পালনে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন কবি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত অধ্যাপক ডক্টর মৃদুল বোস মহাশয়।
আমি আজ প্রায় তিন বছর ধরে এই সাহিত্য গ্রুপের সহিত যুক্ত। পত্রিকার সম্পাদিকা গৌরী রায়চৌধুরী ও সভাপতি স্বপন রায় মহাশয়ের আন্তরিক আহ্বানে সাড়া দিয়ে সব কটি কবি সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। উনাদের এই সৎ প্রচেষ্টাকে আমি সহ পরিবারের সকল গুণী কবিজন খুব সম্মান করে থাকে। তাই উনাদের জানাই আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ এমন সুন্দর সুষ্ঠ সুশৃঙ্খল মনোরম একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করে সম্মাননা দেওয়ার জন্য। এমন সুন্দর আন্তরিক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে এবং সম্মাননা হিসাবে দুটি মেমেন্টো একটি মেডেল ও তিনটি সার্টিফিকেট গ্রহণ করে আমি ভীষণভাবে আপ্লুত আনন্দিত অভিভূত। আবার পরের অনুষ্ঠানের অপেক্ষায় দিন গোনা শুরু আমাদের।
কলমে:- শুভ্রা ভট্টাচার্য
(শিক্ষিকা ও সমাজকর্মী)