ডাঃ সন্দীপ বাড়ি বানিয়েছে একদম বস্তুতন্ত্রের নির্দেশ মেনে
প্রবাদ আছে ‘বিশ্বাসে মিলায় কৃষ্ণ, তর্কে বহুদূর’। বিজ্ঞান বিভাগের কৃতি ছাত্র ডাঃ সন্দীপের গভীর বিশ্বাস ছিল চিনা ফেঙশুই বা ভারতীয় বাস্তুতন্ত্রের উপর – যার সঙ্গে অবশ্য বিজ্ঞানের কোনো সম্পর্ক নেই। রবিবার সারাদিন ধরেই CBI এর তল্লাশি চলে আর জি করের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল ডাঃ সন্দীপ ঘোষের বাড়ি। সামনে আসে পুরো বাড়ির ছবি – যা একদম বাস্তুতন্ত্র মেনে করা হয়েছে।
সন্দীপের বাড়ির মুখ্য প্রবেশদ্বার একদম পূর্বমুখী। যেদিক থেকে সূর্যোদয় হয়, ঠিক সেদিকেই পুরোপুরি ৯০ ডিগ্রি কোণে রয়েছে বাড়ির প্রবেশদ্বার। প্রবেশদ্বারের দু’দিকে দু’টি স্বস্তিক চিহ্ন বসানো। বাড়ির পাঁচিলের দু’ কোণেও স্বস্তিক। বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, বাড়ির প্রবেশদ্বারে স্বস্তিক চিহ্ন থাকা শুভ। শুভাশুভ হয় কর্ম দ্বারা স্বস্তিক চিহ্ন দিয়ে নয়। মূল গেট থেকে ঢোকার পরই বাড়িতে ঢোকার দরজা। সেই দরজার উপরে রয়েছে পঞ্চমুখী হনুমান দেবতার একটি ছবি। বাস্তুমতে বিশ্বাস করা হয়, এই ছবিও খারাপ শক্তিকে গৃহে প্রবেশে আটকায়। বাড়িতে সুখ, শান্তি বজায় থাকে। এবার তিনি টের পাচ্ছেন সুখ-শান্তি!
বাড়ির দোতলার বারান্দার সামনের অংশে পূর্ব দিক করে ঝোলানো রয়েছে শনি দেবতার একটি মূর্তি। তৃতীয় ও চতুর্থ তলে পূর্বদিকে রয়েছে কপারের সূর্য দেবতার মুখ। বাস্তুশাস্ত্রে যারা বিশ্বাস করেন তারা মানেন, বাড়ির পূর্বদিকে সূর্য দেবতার মূর্তি রাখলে তা বাড়িতে সৌভাগ্য বয়ে আনে। তাঁর দুর্ভাগ্য যে আসন্ন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বাড়ির ছাদের পূর্ব দিকে রয়েছে আরও একটি স্বস্তিক চিহ্ন ও হনুমান দেবতার ছবি। ছাদের দক্ষিণ দিকে রয়েছে বজরংবলীর পতাকা। এই কোণে বজরংবলীর পতাকা থাকাও শুভ হিসাবে ধরা হয়। সন্দীপের বাড়ির দোতলার ঈশান কোণে অর্থাৎ উত্তর-পূর্ব কোণে রয়েছে তুলসী গাছ। বাস্তুমতে এই কোণে তুলসী গাছ থাকা শুভ। আর অগ্নিকোণে অর্থাৎ দক্ষিণ ও পূর্ব দিকের কোণে রয়েছে মানিপ্ল্যান্ট। ঘরের এই কোণে মানিপ্লান্ট বসানো মানেই অর্থ সদা প্রসন্ন। শুধু মানি প্ল্যান্ট তাকে অবশ্য প্রসন্ন করেছে – একথা বলাই যায়।