গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে কি করনীয় ?
গরমে হাঁসফাঁস করছে বাংলা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তাঘাট ধু ধু করছে। কাকপক্ষীরও দেখা নেই। এই তপ্ত সূর্য রশ্মির দাপটের সামনে সবাই বেশ ক্লান্ত। আর যাঁরা একান্তই কোনও উপায় না পেয়ে বেরচ্ছেন, তাঁদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে একাধিক সমস্যার।
মনে রাখবেন, তীব্র দাবদাহে অনেকেই হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। আর এই অসুখ কিন্তু মেডিক্যাল ইর্মার্জেন্সি। তাই সচেতন হওয়া ছাড়়া আমাদের হাতে আর কোনও গতি নেই।
এখন প্রশ্ন হল হিট স্ট্রোক কী? গ্রীষ্মের দিনে অত্যধিক তাপমাত্রাজনিত কারণে শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। এই সমস্যাকে বলা হয় হিট স্ট্রোক। অনেকক্ষণ তীব্র রোদে থাকার কারণে এই সমস্যা হয়। হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যেতে পেরে।
এই অসুখে আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হয়। নইলে প্রাণ নিয়ে টানাটানি পড়তে পারে। তাই দেরি না করে এই অসুখের লক্ষণ ও প্রতিরোধের কৌশল জেনে নেওয়া দরকার। কে বলতে পারে গরমের মারে কে কখন কাহিল হয়ে পড়ে। তাই সাবধান হতে হবে বৈকি!
গরমে হাঁসফাঁস করছে বাংলা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তাঘাট ধু ধু করছে। কাকপক্ষীরও দেখা নেই। এই তপ্ত সূর্য রশ্মির দাপটের সামনে সবাই বেশ ক্লান্ত। আর যাঁরা একান্তই কোনও উপায় না পেয়ে বেরচ্ছেন, তাঁদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে একাধিক সমস্যার।
মনে রাখবেন, তীব্র দাবদাহে অনেকেই হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। আর এই অসুখ কিন্তু মেডিক্যাল ইর্মার্জেন্সি। তাই সচেতন হওয়া ছাড়়া আমাদের হাতে আর কোনও গতি নেই।
এখন প্রশ্ন হল হিট স্ট্রোক কী? গ্রীষ্মের দিনে অত্যধিক তাপমাত্রাজনিত কারণে শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। এই সমস্যাকে বলা হয় হিট স্ট্রোক। অনেকক্ষণ তীব্র রোদে থাকার কারণে এই সমস্যা হয়। হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যেতে পেরে।
এই অসুখে আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হয়। নইলে প্রাণ নিয়ে টানাটানি পড়তে পারে। তাই দেরি না করে এই অসুখের লক্ষণ ও প্রতিরোধের কৌশল জেনে নেওয়া দরকার। কে বলতে পারে গরমের মারে কে কখন কাহিল হয়ে পড়ে। তাই সাবধান হতে হবে বৈকি!
হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে শরীরে এই উপসর্গগুলি দেখা যায়-
১. শরীরের তাপমাত্রা খুবই বেড়ে যায়। এই সময় তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যেতে পারে
২. আক্রান্ত অদ্ভুত ব্যবহার শুরু করতে পারেন, তাঁর খিঁচুনি হতে পারে
৩. খুব ঘাম হয়
৪. বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে
৫. দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস
৬. হার্টরেট বেড়ে যায়
৭. মাথা ব্যথা হয়
8. আক্রান্ত সংজ্ঞাহীন হয়ে যেতে পারেন
এই লক্ষণগুলি দেখা দিলে অবশ্যই সচেতন হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এই অসুখ মূলত খুব গরমে থাকার জন্য হয়। তাই যাঁরা গরমের সময় একান্তই বাইরে বেরতে বাধ্য হচ্ছেন, তাঁরা সতর্ক হন। আসলে আবহাওয়া তপ্ত হলে শরীর নিজের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা আর নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না। তখন এই জটিলতা তৈরি হয়।
এছাড়া যাঁরা এই গরমে খুব পরিশ্রম করছেন, এক্সারসাইজ করছেন, তাঁদেরও এই সমস্যা হতে পারে। তাই দুপুরের দিকে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম এড়িয়ে যেতে হবে।
সব বয়সিরাই এই অসুখে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে বয়সকালে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। কারণ এনাদের শরীর গরম আবহাওয়ার সঙ্গে সহজে মানিয়ে নিতে পারে না। তাই চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব গরম থেকে নিজেকে রক্ষা করার। বাড়ির বয়স্ক ব্যক্তিদের দুপুরের দিকে বাইরে বেরতে দেবেন না। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাঁরা ঘরেই থাকুন। তারপর বেরতে পারেন।
কারও মধ্যে উপরিউক্ত কোনও লক্ষণ দেখা দিলে তাঁকে দ্রুত একটা ঘরে নিয়ে গিয়ে বসান। এসি বা পাখা চালিয়ে দিন। তাঁর জামাকাপড় যতটা সম্ভব খুলে দিতে হবে। চোখে-মুখে-ঘাড়ে ঠান্ডা জল দিন। তাঁকে জলপান করাতেও পারেন। এতেই তাঁর শরীরের তাপমাত্রা কমবে। রোগী একটু স্টেবল হলে তাঁকে হাসপাতালে আনুন। এইটুকু করতে পারলেই তাঁর প্রাণ বাঁচতে পারে। তাই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া আরও কোনও পথ নেই।
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে এই নিয়মগুলি মেনে চলতে বলছে
১. হালকা জামাকাপড় পরতে হবে
২. সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন
৩. পর্যাপ্ত পরিমাণে জলপান করতে হবে
৩. বাইরে বেশি সময় না কাটানোই ভালো
৪. খুব সকালে বা রাতের দিকে বাইরের কাজ সেরে ফেলুন,
৫. ছাতা, টুপি ব্যবহার করুন
৬. ইউরিনের রঙের দিকে নজর রাখুন, তা হলুদ বা গাঢ় রঙের হলে অবশ্যই জলপানের পরিমাণ বাড়ান
৭. কফি, মদ্যপান ইত্যাদি থেকে দূরে কাটাতে হবে।
এই কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই সুস্থ থাকবেন।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।