মুন্ডেশ্বরী ও শিলাবতী নদীতে জল বাড়ছে দ্রুত গতিতে – প্লাবিত দুই কুল

SATYAM NEWS
দক্ষিণবঙ্গে বন্যা শুরু হয়েছে। সমস্ত নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ ইতিমধ্যে বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে গেছেন। তারমধ্যেই দুঃসংবাদ , শনিবার থেকে আরো জল ছাড়া শুরু করেছে ডিভিসি। রাজ্যকে না জানিয়েই তা ছাড়া হচ্ছে, এমনটাই অভিযোগ নবান্নের।এরই মধ্যে মাইথন থেকে ৬০০০ কিউসেক ও পাঞ্চেত থেকে ১,১৪,০০০ কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। সব মিলিয়ে কয়েকটি নদীর জলসীমা স্বাভাবিক থেকে অনেক বেশি। শনিবার পাঞ্চেত এবং মাইথন থেকে যে জল ছেড়েছে সেই জল দামোদরের দুর্গাপুর ব্যারেজে আসতে শুরু করেছে। দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়ল। দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ ৮২ হাজার কিউসেক। এখন সর্বত্র শুধু জলের আতঙ্ক। দিশেহারা মানুষ।
ডিভিসি অতিরিক্ত জল ছাড়ায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে মুন্ডেশ্বরী নদী। জলের তোড়ে ভাঙল ৪টে বাঁশের সেতু। গায়েন পাড়া, কুলিয়া, আজানগাছি, পানশিউলী।এদিকে, ডিভিসির ছাড়া জলে হাওড়া জগৎবল্লভপুর ব্লকের একাধিক জায়গায় বাড়ছে জল। ভেঙেছে একাধিক বাঁধ। রাস্তা প্লাবিত নদীর জলে। রাস্তায় খেলা করছে মাছ।
শিলাবতী নদীতে জল বাড়ায় শঙ্কায় ঘাটালের মানুষ। যেকোনো মুহূর্তে প্লাবিত হতে পারে পুরো ঘাটাল। নিম্নচাপের বৃষ্টিতে জল বেড়েছে ঘাটালের শিলাবতী নদীতে। শিলাবতী নদীর জলে প্লাবিত হচ্ছে ঘাটাল পৌর এলাকা। শিলাবতী নদীর জল বাড়ায় শিলাবতী নদীর উপর ভাসমান ঐতিহ্যবাহী ভাসাপোল সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল যাতায়াত। নতুন করে পাটাতন লাগিয়ে আবার চালু করা হয়েছে ভাসাপোল। এক কথায় শিলাবতী নদীর জল বাড়ায় উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ঘাটালবাসীর। এদিকে খবর এসেছে বীরভূমের কুয়ে নদীর বাঁধ ভেঙে ঠিবা, কাজীপাড়া, লাঙলহাটা সহ বহু গ্রাম চলে যাচ্ছে জলের তলায়। নবান্ন থেকে কড়া নজর রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *