‘রুবি’ নয় নাম হোক ‘রবি’ মোর

SATYAM NEWS

প্রথম ভারতীয় নোবেল বিজয়ীকে শ্রদ্ধা জানাতে এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করতে, সুশান্ত ঘোষ, বরো চেয়ারম্যান, ২৫সে বৈশাখ ই এম বাইপাস এবং রাশবিহারী সংযোগকারীর ক্রসিংয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি মূর্তি স্থাপন করেন এবং এই ক্রসিংয়ের নাম রবি হিসাবে নামকরণের দাবি রাখেন যা এখনও পর্যন্ত রুবি মোর হিসেবে পরিচিত।

বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ বলেন, প্রাইভেট হাসপাতালের নামে এই গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিং কে রেফার করার কোনো মানে নেই। তিনি বলেন, “আমি জানতে পেরেছিলাম যে একজন শিল্পী বর্ধমানের কালনায় রবি ঠাকুরের এই মূর্তিটি তৈরি করেছিলেন এবং ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন কিন্তু কোভিড এবং লকডাউনের জন্য তিনি মূর্তিটি বিক্রি করতে পারেননি এবং মূর্তিটি বিক্রির জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন।” তিনি বলেন “আমি বিষয়টি জানতে পেরে শিল্পী জগৎ মণ্ডলের কাছ থেকে ৯৫,০০০ টাকায় মূর্তিটি কিনেছিলাম। এটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি,”

রুবি মোর চত্বরে বেশ কিছুদিন ধরেই দেখা যাচ্ছিলো স্থানীয়দের দ্বারা লাগানো কিছু ব্যানার , যাতে লেখা আছে ”আমরা চাই রবি মোর”।

বাংলা ভাষায় রুবি একটি রত্ন যাকে অনেকে চুনি বলে চেনে , আবার ফুটবল প্রেমীরা চুনি গোস্বামীকে রুবি বলে ডাকতো , আবার সংগীত প্রেমীদের কাছে রুবি মানেই – মনে পরে রুবি রায় – কলকাতায় রাসবেহারী বা বাইপাস এর ধরে শুনবেন অটোওয়ালা বা বাসওয়ালা চেল্লাচ্ছে – রুবি রুবি রবি রবি

আসলে ৯০এর দশকে প্রাইভেট হাসপাতাল রুবি এই জায়গায় আসার পর থেকেই এই জায়গার ল্যান্ডমার্ক হয়ে ওঠে , আসতে আসতে এখন গড়ে উঠেছে আরো বেসরকারি হাসপাতাল , পাসপোর্ট অফিস , জি এস টি ভবন , ট্রান্সপোর্ট অফিস , প্রাইভেট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল সহ কত রকম অফিস কাচারী কিন্তু ওই যে হোগলা গাছের জঙ্গল আর ধানের খেত কেটে প্রথমবার বাইপাসের ধারে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের দেওয়া বাইপাসের ধারে গড়ে ওঠা হাসপাতাল এখনো তার ডিভিডেন্ট পেয়ে যাচ্ছে রোজনামচার বাঙালি জীবনে রুবি মোর নামে।

এখন এটাই দেখার কি বাংলায় মানুষজন দীর্ঘদিনের অভ্যেস কাটিয়ে ”রুবি” প্রেম ছেড়ে রবি প্রেমের হাতছানিতে কতটা সারা দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *