ভারতীয় ইতিহাসের স্বর্ণালী অধ্যায় – চন্দ্রযান-৩ অবতরণ করল চাঁদে
চাঁদের মাটি ছুঁল চন্দ্রযান-৩, ইতিহাস গড়ল ভারত। সারা ভারত তো উচ্ছ্বসিত ছিলই, আগ্রহে তাকিয়ে ছিল সারা বিশ্বই। অবশেষে সেই অপেক্ষা সার্থক হল। প্রতীক্ষার শুভ অবসান। ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ভারত চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-৩ নামিয়ে অবশেষে তৈরিই করে ফেলল ইতিহাস। ভারতীয় মহাকাশবিজ্ঞানের পরিসরে এক মহাবিপ্লব ঘটে গেল।
দেশের কাছে এ এক গৌরবের দিন। গোটা বিশ্বে ভারতই প্রথম দেশ, যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে কোনও নভোযান পাঠাল। এই সাফল্যের পর দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘জয় চন্দ্রযান-৩। চন্দ্রাভিযানে এই দুর্দান্ত সাফল্যের জয়। ইসরোর জয়।’ চাঁদের মাটিতে অনুসন্ধান মিশনে দেশের এই মহান সাফল্যে সমগ্র ভারতবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নির্ধারিত দিনে, বুধবারে সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করল চন্দ্রযান-৩। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তথা ‘ইসরো’ আগেই জানিয়েছিল, চাঁদের নামার আগের শেষ ২০ মিনিট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। গোটা মুন মিশনের কাছে এই কয়েক মিনিটই সব চেয়ে চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে বলে মত ছিল তাদের! দেখা যাচ্ছে, সেই ফাঁড়া কাটিয়ে সাফল্যের মুখ দেখল এই মিশন। ‘ইসরো’র প্রধান বলেছিলেন, চন্দ্রযান-৩-এর সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করার ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
চাঁদের রহস্যময় দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছতে পারা প্রথম দেশ হিসেবে ইতিহাস লিখবে ভারত! সেটাই হল। এখনও পর্যন্ত পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিন চন্দ্রপৃষ্ঠে সফলভাবে তাদের মহাকাশযান নামাতে পেরেছিল। চন্দ্রযান-৩ সফল হওয়ায় ভারত এই তালিকার চতুর্থ দেশ হল।
গত ১৪ জুলাই ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশকেন্দ্র থেকে চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডারের নাম ‘বিক্রম’, রোভারের নাম ‘প্রজ্ঞান’। শুরুতে চাঁদের দক্ষিণ অংশে অবতরণ করবে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। বিক্রম সফলভাবে অবতরণ করতে পারলে তা ‘প্রজ্ঞান’ রোভারকে চাঁদের মাটিতে ছাড়বে। এই রোভারই তখন চাঁদের বুকে ঘুরে ঘুরে বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালাবে। আর নতুন সব তথ্য পাঠাতে থাকবে পৃথিবীতে।