আবার অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার
সিভিক বলেন্টিয়ার্সদের আচরণ নিয়ে মাঝে মাঝেই নানা প্রশ্ন উঠছে। প্রকৃতপক্ষে তারা পুলিশের মতো স্বাধীনতা চাইছে, কিন্তু প্রায় কোনো প্ৰশিক্ষণ বা পরীক্ষা ছাড়াই তারা চাকরিতে ঢুকেছে। তার জন্যই বার বার করে নানা খারাপ কাজের সঙ্গে তারা যুক্ত হয়ে পড়ছে। এবারের ঘটনা উত্তর দিনাজপুরের ইসালমপুরে। ঘটনাটি কয়েকদিন আগে ঘটলেও প্রথমিকভাবে তা চেপে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছিল।
দিন দশেক আগে ঘটা এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নাগরিক মহল ক্ষোভে ফেটে পারেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ঘটনা দিন দশেক আগের। অভিযুক্ত নাজমুল স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ভাইঝির কাছে তোলা চান বলে অভিযোগ। দাবি মতো তোলা না দেওয়ায় তৃণমূল নেতার ভাইঝি ও তাঁর মেয়ের শ্লীলতাহানি করে নাজমুল। বিষয়টি প্রথমে চেপে গেলেও সোমবার ইসলামপুর থানায় নাজমুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। এর পর নাজমুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে আদালতে পেশ করে হেফাজতে নিয়েছেন তদন্তকারীরা। প্রশ্ন উঠেছে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সীমাহীন ঔদ্ধত্য নিয়ে।
আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। তার পর থেকে গোটা রাজ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের আচরণ ও ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
সিঁথিতে প্রতিবাদীদের মধ্যে মত্ত অবস্থায় বাইক চালিয়ে ঢুকে পড়ার অভিযোগ উঠেছে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। জলপাইগুড়িতে তিস্তার পাড়ে ব্রাউন সুগার টানতে গিয়ে ধরা পড়েছে তেমনই একজন। এবার দক্ষিণ দিনাজপুর। ঘটনার বিশ্লেষণ শুনে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘এখানে চুক্তিতে পুলিশকর্মী নিয়োগ করা হয়। গোটা রাজ্যে এরকম কোথাও দেখিনি।’এবার থেকে আরো কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা না করতে পারলে এদের নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না বলেই মনে করেন নাগরিক মহল।