তৃনমূল টিকিট দেয়নি তাই কংগ্রেসের হয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন কোন্নগরের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায়।
তৃনমূল টিকিট দেয়নি তাই কংগ্রেসের হয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন কোন্নগরের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায়।তৃণমূলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বললেন এখনো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কে শ্রদ্ধা করি তাই তাদের বিরুদ্ধে প্রচারে কিছু বলব না। তৃণমূলের তালিকা বেরোনোর পর তার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি।কেন তাকে বাদ দেয়া হল সে বিষয়ে কোন কিছু জানানো হয়নি।
বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায় কোন্নগর পুরসভার দুবারের চেয়ারম্যান।পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর পুর প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছেন।ছয় মাস আগে তাকে সরিয়ে দিয়ে তন্ময় দেবকে প্রশাসক নিযুক্ত করা হয়।
বাপ্পাদিত্যর সময়কালে পুরসভার গেস্ট হাউসে মধুচক্র চালানোর অভিযোগ উঠেছিল।কোন্নগর ফেরিঘাট থেকে লিজিকে জোর করে হঠিয়ে দিয়ে নিজেদের পছন্দের লোককে পাইয়ে দেবার অভিযোগ উঠেছিল।সেই মামলা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়।পরবর্তী কালে আদালতের নির্দেশে প্রকৃত লিজিকে ঘাট ফিরিয়ে দেয় প্রশাসন।আবাসন দূর্নীতিরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।বাপ্পাদিত্য তৎকালীন উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।২০২১ সালে প্রবীর ঘোষাল বিজেপিতে যোগ দিলেও বাপ্পাদিত্য তৃণমূল ছাড়েননি।এবার আশা করেছিলেন হয়ত দল তাকে টিকিট দেবে।কিন্তু তার সেই আশায় জল ঢালে তৃনমূলের প্রার্থী তালিকা।দল তাকে টিকিট দেয়নি এমনকি দলের কোনো নেতা তার সঙ্গে যোগাযোগও করেনি।এই অবস্থায় তিনি কংগ্রেসের হয়ে আট নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা করেন শ্রীরামপুর মহকুমা দপ্তরে।তিনি জিতবেন মানুষের ভোটে কারন এলাকার মানুষ তাকে চায়,দাবী প্রাক্তন চেয়ারম্যানের।
হুগলি জেলায় কংগ্রেসের শক্তি ক্ষয় হতে হতে তলানীতে ঠেকেছে।যা কিছুটা আছে তা কোন্নগরে।গতবার কোন্নগর পুরসভায় ২০ টা ওয়ার্ডের মধ্যে পাঁচটা ওয়ার্ড পেয়েছিল কংগ্রেস।বামেরা পেয়েছিল চারটে।তুলনায় বিজেপি কোন্নগরে দূর্বল।তাই কংগ্রেস বাপ্পাদিত্যর মত একজন পোড় খাওয়া রাজনৈতিক নেতাকে দলের প্রতীকে মনোনয়ন দেয়।তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে,আগামী দিনে কংগ্রেসটা করবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অধীর মুখোপাধ্যায় বলেন,বাপ্পাদিত্য কাজের ছেলে।ও যখন চেয়ারম্যান ছিল তখন ওর মানষিকতা ছিল উন্নয়ন করা আর সেটা ও করেছে।কংগ্রেসের সঙ্গে যখন যৌথ বোর্ড ছিল তৃণমূলের তখন ও চেয়ারম্যান ছিল ওর কাজের বিরোধিতা আমরা কোনদিন করিনি।ওর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আছে সেগুলো সব ভিত্তিহীন।কংগ্রেস দলে কাজ করার সুযোগ আছে কারণ এখানে সমস্ত কর্মীরা একাট্টা।