পুলিশ গ্রেফতার করেছে বিজেপি ছাত্র নেতা সায়ন লাহিড়ীকে – অভিযোগ সুকান্তর
মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার ঘটনা ঘটে কলকাতা ও হাওড়ায়। এই নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলো বিজেপি প্রভাবিত ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামে একটি ছাত্র সংগঠন। সেই সংগঠনের নেতা সায়ন লাহিড়ীকে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর হুমকি, “পুলিশ দিয়ে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা যাবে না।” যদিও সায়নকে পুলিশ আটক বা গ্রেফতার করেছে কি না সেই ব্যাপারে মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত রাজ্য বা কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে কিছুই জানানো হয়নি। বিষয়টা এখন পর্যন্ত ধোঁয়াশায় আছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের দাবি কোনো কারণ না দেখিয়েই বিজেপি কর্মী ও ছাত্রদের পুলিশ তুলে নিয়ে যাচ্ছে। সুকান্তের দাবি, একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের দফতর থেকে বেরোতেই সায়নকে পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছে। নিজের সমাজমাধ্যমের হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, “আজকের নাগরিক আন্দোলন দেখে কেঁপে গিয়েছে নবান্ন। কর্মসূচি মিটতেই শুরু হয়ে গেল আর এক দফা ধরপাকড়। পুলিশ তুলে নিয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের অন্যতম মুখ সায়ন লাহিড়ীকে।” মঙ্গলবার আরজি কর-কাণ্ডের বিচার চেয়ে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর ডাকা নবান্ন অভিযানে উত্তপ্ত হয়েছে পরিস্থিতি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ জানায়, নবান্ন অভিযান থেকে মোট ২২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে, কলকাতা পুলিশ মোট ১২৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মধ্যে ১০৩ জন পুরুষ এবং ২৩ জন মহিলা রয়েছেন। এখন সায়ন লাহিড়ীকে নিয়ে আবার নতুন করে বিতর্ক তৈরী হয়েছে।