বারুইপুর প্রধান ডাকঘরে কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগে গ্রেপ্তার প্রাক্তন পোস্টমাস্টার সহ দুজন ট্রেজারার
জাহেদ মিস্ত্রি, বারুইপুর: বারুইপুরের প্রধান ডাকঘরে ১ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গ্রেপ্তার হল প্রাক্তন পোস্টমাস্টার সহ দুইজন ট্রেজারার। বারুইপুর থানার পুলিশ আর্থিক তছরুপের তদন্তে নেমে সোমবার রাতে তিনজন কে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , অভিযুক্ত পোস্টমাষ্টারের নাম দেবাশিস রক্ষিত, ট্রেজারার প্রদীপ মারিক ও রাজেন্দ্র দত্ত। বাড়ি বারুইপুর থানা এলাকাতেই। ধৃতদের বিরুদ্ধে ৪০৯ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ ।এদের মঙ্গলবার বারুইপুর মহাকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে পুলিশ টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করবে বলে জানা গেছে । এদের কাছ থেকে লেনদেন সংক্রান্ত কাগজপত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
গত ২৭ এপ্রিল বারুইপুর থানায় এক কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগ করেন ডাকঘরের অ্যাসিস্টাণ্ট সুপারিটেন্ডেট অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগে জানানো হয়েছিল ডাকঘরের অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবরের মধ্যে। কিন্তু ডাকঘরের পাশেই একটি রাস্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় জমা দেওয়া হয়েছিল ৩৫ লক্ষ টাকা। বাকি ১ কোটি টাকা জমা পড়েনি। অভিযোগপত্রে নাম ছিল সেই সময়ের ট্রেজারার প্রদীপ মারিকের। যিনি বর্তমানে ফলতা ডাকঘরের সাব মাস্টার হিসেবে কর্মরত। আর যে সময়ে ঘটনা হয়েছিল সেই সময় বারুইপুর প্রধান ডাকঘরের পোস্টমাস্টার ছিলেন দেবাশিস রক্ষিত। বড়সড় দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসতেই গত ২ মে পোস্টমাস্টার দীপঙ্কর দাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট পোস্টমাষ্টার প্রলয় মণ্ডল, তৎকালীন ট্রেজারার প্রদীপ মারিক সহ সাতজন কে সাসপেন্ডের নোটিশ দেয় সাউথ প্রেসিডেন্সি ডিভিশন।