সুস্থ দীর্ঘায়ুর জন্য জাপানিদের পাঁচ পন্থা
আমরা জানি বিশ্বে সবচেয়ে দীর্ঘায়ু জাপানিরা। পরিসংখ্যান বলছে,জাপানের মহিলাদের গড় আয়ু ৮৭.৪৫ বছর। আর পুরুষের গড় আয়ু হল ৮০.৫। আর সেই জায়গায় ভারতীয়দের গড় আয়ু হল মাত্র ৬৯.১৬। এই পরিসংখ্যান দেখে বুঝতেই পারছেন যে জাপানিদের আয়ু ভারতীয়দের তুলনায় অনেকটাই বেশি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাপানিদের দীর্ঘায়ুর প্রধান কারণ ৫টি। তা মেনে চলতে পারলে আমরাও অনেকদিন বাঁচতে পারি। যেমন –
১) স্বল্পাহার – জানলে অবাক হয়ে যাবেন, জাপানিরা কখনওই আমার আপনার মতো পেট ভর্তি খাবার করে খান না। বরং তাঁরা পেট কিছুটা খালি রেখেই আহার গ্রহণ করেন। তাঁদের মতে, খিদের সময় অত্যধিক পরিমাণে খেলে একাধিক রোগব্যাধি চেপে ধরতে পারে। তাই তাঁরা ৮০ শতাংশ পেট ভরে গেলেই খাওয়া থামিয়ে দেন। আর এই কৌশলেই তাঁরা দীর্ঘদিন নীরোগ থাকতে পারেন।
২) পরিচ্ছন্নতা – সুস্থ থাকার লক্ষ্যে জাপানিরা সমস্ত রকম নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেন। তাঁরা নিয়মিত হাত ধুয়ে নেন। রাস্তায় বেরলেই তাঁদের মুখে থাকে মাস্ক। তাই সংক্রমণজনিত একাধিক সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। এছাড়া কোনও রোগের লক্ষণ দেখা দিলেই তাঁরা দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। আর সেই কারণে তাঁদের দীর্ঘায়ু পেতে বেগ পেতে হয় না।
৩) ধীরে খাদ্যগ্রহণ – ব্যস্ততার জেরে আমরা বেশিরভাগই গোগ্রাসে খাবার গিলে খাই। তবে জাপানিরা কিন্তু এই ব্যাপারে ভীষণ স্ট্রিক্ট। তাঁরা একদমই দ্রুত গতিতে খাওয়া পছন্দ করেন না। বরং ধীরে সুস্থে চিবিয়ে খাওয়াতেই তাঁরা বেশি বিশ্বাসী। আর সেই কারণে তাঁদের খাবার হজম হতে একদমই সময় লাগে না। এমনকী তাঁদের অন্ত্রের স্বাস্থ্যও থাকে একদম চাঙ্গা। তাই সুস্থ থাকতে এবার থেকে ধীরে সুস্থ খাওয়া অভ্যাস করুন।
৪) মরসুমি শাক সবজি ও ফল – জাপানিরা কিন্তু আমার, আপনার মতো বিরিয়ানি, পিৎজা এবং মোমোর মতো জাঙ্ক ফুড খেতে একদমই পছন্দ করেন না। বরং তাঁরা বাড়িতে তৈরি খাবারেই অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ। এছাড়া তাঁরা প্রচুর পরিমাণে মরশুমি শাক, সবজি ও ফল খান। এর মাধ্যমেই তাঁদের শরীরে ভিটামিন, মিনারেল ও খনিজের ঘাটতি মিটে যায়।
৫) হাঁটা ও স্বাস্থ্যচর্চা – জাপানের জনগণ কিন্তু দৈহিক পরিশ্রমে বিশ্বাসী হাঁটা ও ব্যায়াম তাঁদের প্রাত্যহিক কাজ। তাই তাঁরা দিনে অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটেন। এমনকী বাড়ির গ্যারেজে মার্সিডিজ বেঞ্জ রেখে দিয়েও তাঁরা হেঁটেই বাজার করতে যান। আর এটাই তাঁদের সংস্কৃতি। আর এই অভ্যাসটাই তাঁদের সুস্থ রাখে।