চন্দন নগরে জগদ্ধাত্রী হয়ে উঠলেন আর জি করের তিলোত্তমা
একটা ঘটনা মানুষের মনে কি ভীষণ প্রভাব ফেলতে পারে তার জীবন্ত উদাহরণ আর জি কর কান্ড। চন্দননগর কলুপুকুরগড়ের ধারের পুজো এ বার ৩৬ বর্ষে পড়েছে। বারোয়ারির তরফে জানানো হয়েছে, এ বারের পুজোয় তাদের ভাবনা নারীশক্তিকে সম্মান জানানো। আর সেই ক্ষেত্রেই তাদের দেবি মূর্তিতে যেন মূর্ত হয়ে উঠলে আর জি করের তিলোত্তমা। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় এমন মণ্ডপ ও প্রতিমা দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন, প্রতিবাদের সেই আঁচ এ বার পড়েছে সেখানে। মণ্ডপে ঢুকলেই দেখা যাবে ১০ হাতের একটি মূর্তি। হাতে বই, গলায় স্টেথোস্কোপ, পরনে সাদা অ্যাপ্রন। মেয়েরা যে সব পারে সেটা দেখাতেই ১০ হাত দেওয়া হয়েছে বলে জানাচ্ছেন আয়োজকেরা। তবে আয়োজকেরা কোনো বিতর্ক চান নি। তারা বলছেন, এর সঙ্গে আরজি করের কোনও সম্পর্ক নেই।
বারোয়ারির এক কর্তার কথায়, ‘‘এক জন নারী কী না পারেন! শ্রমিক থেকে ঘরকন্না, ডাক্তারি থেকে শিল্পকর্ম, প্রশাসন চালানো থেকে সন্তান মানুষ করা— নারী নানা রূপে ধরা দেন। সেই সব রূপকেই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন মডেলের মাধ্যমে।’’ তাদের কথায়, “এক জন নারী তো চিকিৎসকও হতে পারেন। আসলে আমরা নারী শক্তির বন্দনা করেছি। প্রত্যেক নারীই তো উমার রূপ। সেই রূপকেই তুলে ধরা হয়েছে।’’ তারা যাই বলুন আসলে গোপনে, তাদের মনের গভীরে স্থান পেয়েছিল আর জি করের তিলোত্তমা। আর তাই তাদের এই দেবি মূর্তি – জানান নাগরিক মহল।