তোলা না পেয়ে ব্যবসায়ীর কলার ধরে মার র্কাউন্সিলরের স্বামীর সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ
নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া:- ২৪আগস্ট অর্থাৎ বৃহস্পতিবার
হোটেল ব্যবসায়ীর কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা তোলা চেয়ে না পেয়ে ব্যবসায়ীকে কলার ধরে মারধরের অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে। টাকা চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল নেতরা। হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কাউন্সিলর রীতা দত্তর স্বামী স্বপন দত্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ।জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় চুঁচুড়ার চকবাজারে জগন্নাথ খাঁড়ার হোটেলে চড়াও হন স্বপন দত্ত। অভিযোগ, পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। ব্যবসায়ী টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে কলার ধরে মারধর করেন বলেও অভিযোগ। এমনকী হোটেল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। হোটেলের সিসি ক্যামেরায় সেই ছবি ধরা পরেছে বলে জানা গিয়েছে। হোটেলের সামনে থাকা উনুনের জন্য নর্দমা পরিষ্কারে অসুবিধা হয় বলে, কিছুদিন আগে উনুনটি সরিয়ে ফেলতে বলা হয় পুরসভার তরফে। কিন্তু ব্যবসায়ী উনুন না সরানোয় কাউন্সিলরের স্বামী চাপ সৃষ্টি করেন বলে অভিযোগ।জগন্নাথ খাঁড়ার অভিযোগ,৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের স্বামী আমার কাছে এসে বলেন, নির্দেশ আছে হোটেল ভেঙে সরিয়ে দেওয়ার। আমি বলি আমার কাছে কোনও নির্দেশ আসেনি। পুরসভায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি এমন কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। এরপরই সন্ধ্যাবেলায় স্বপন দত্ত এসে আমার হোটেলে চড়াও হন। পঞ্চাশ হাজার টাকা চান, আমাকে মারধর করে হোটেল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন। আমি গোটা বিষয়টি ব্যবসায়ী সমিতিকে জানিয়েছি।অভিযুক্ত স্বপন দত্ত বলেন, “মহকুমা শাসকের নির্দেশ আছে জবর দখল ভেঙে সরিয়ে দেওয়ার। সেটাই ওকে বলতে গিয়েছিলাম। আমি পঞ্চাশ হাজার টাকা চেয়েছি এ মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।এছাড়া তিনি এও অভিযোগ করেনদোকানটি যাতে ভাঙা না হয় তার জন্যশহরে সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি তার কাছে অনুরোধ করেন। রাস্তার পাশে ড্রেন দখল করে রেখেছে। পুরসভা রাস্তার উপরে দোকানের ছাউনি বেরিয়ে আছে। মহকুমা শাসকের নির্দেশ আছে জবর দখল সরিয়ে দেওয়ার। সেটাই বলতে গিয়েছিলাম। হোটেল ব্যবসায়ীর এই বেআইনি জবর দখলে আমার দলেরই লোক ওকে সাহায্য করছে দলের কে সাহায্য করছে জানতে চাইলে মির্জা সানোয়ার আলীর নাম করেন।তৃণমূল কাউন্সিলর রিতা দত্ত বলেন,চকবাজার এলাকায় কিছু দোকানের সামনে জবর দখল হয়ে থাকায় নিকাশি সমস্যা হচ্ছিল। একটু বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে যাচ্ছিল রাস্তা। তাই ছড়িয়ে দেওয়া হয়। হোটেল ব্যবসায়ীকে বলা হল তিনি শোনেননি।উল্টে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার অভিযোগ করছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করতে গেলে সাধারণ মানুষ জানান স্বপন দত্ত এই ধরনের মানুষ নন তিনি টাকা চাইতে পারেন না। দোকানটি ভাঙ্গার অনুমতি পত্রে পৌর প্রধানের সই থাকা সত্ত্বেও তিনি অস্বীকার করেন এই প্রসঙ্গে রিতা দত্ত জানান পৌর প্রধানের মস্তিষ্ক বিকৃতি হয়েছে ওনার সেইরকম কিছু মনে থাকে না। এখন দেখার বিষয় দলের মধ্যেই কি গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে কি তৃনমূলের হাঁড়িতে খিচুড়ি হওয়ার মতন অবস্থা। এই ঘটনা ঘটার পর একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ জানান