নেতাজি রাশিয়াতে ছিলেন একথা জানতেন এদেশের কমিউনিস্ট পার্টি বিস্ফোরক দাবি আইনজীবী জয়দীপ মুখার্জীর
সত্যম নিউস , নিউস ডেস্ক : নেতাজি রাশিয়াতে ছিলেন একথা জানতেন এদেশের কমিউনিস্ট পার্টি বিস্ফোরক দাবি অল ইন্ডিয়া লিগাল এড ফোরামের সাধারণ সম্পাদক তথা সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের। চাচা নেহেরু যাতে ক্ষিপ্ত না হন তাই জন্য এদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা বিষয়টি নিয়ে মুখ বুঝে থেকে যান এমনটাই জানাচ্ছেন আইনজীবী জয়দীপ মুখোপাধ্যায়।
১৯৪৫ সালের তাইহোকু বিমান দুর্গটনার সবটাই মিথ্যা। নেতাজি নিজেই রটিয়েছিলেন এই বিমান দুর্ঘটনার কথা। ব্রিটিশ সম্রাজ্যের চোখে ধুলো দিয়ে সায়গন থেকে ড্যারেন চলে গিয়েছিলেন । ব্রিটিশ কোনোদিনই এই বিমান দুর্ঘটনার তথ্য কে বিশ্বাস করেনি। ১৯৪৫ সালের ১৮ই অগাস্ট এর পর সুভাষ বোস তৎকালীন সোভিয়েত উনিয়নে আশ্রয় নিয়েছিল একথা সর্বজন বিদিত । একমাত্র কিছু তৎকালীন কংগ্রেস নেতারা নিজেদের স্বার্থে নেতাজিকে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্য বলে প্রমান করতে মরিয়া প্রচেষ্টা করেছিলেন। এবং কংগ্রেসের সাথে একই সুরে সুর মিলিয়েছিলেন এদেশের কমিউনিস্ট পার্টি।
১৯৪৭ সালের দ্বিখণ্ডিত স্বাধীনতার পর , নেহেরু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরবর্তী সময় নেহেরু স্তালিন এর রাজত্ব কালে অর্থাৎ ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত একবারও সোভিয়েত ইউনিয়ন সফর করেননি। জোসেফ স্তালিনও কোনোদিন ভারত সফর করেননি। সোভিয়েতের সঙ্গে নেহেরুর বন্ধুত্ব হয় স্তালিন জামানার পরে ১৯৫৫ সালের পরবর্তী সময়ে। এই ভারত সোভিয়েত বন্ধুত্ব পূর্ণতা পায় ১৯৫৬ সালের দুদেশের মৈত্রী চুক্তির মাধ্যমে।
১৯৪৮ সালে নেহেরু তার বোন কে পাঠিয়েছিলেন সোভিয়েত দেশে কিন্তু বিজয় লক্ষি পণ্ডিত নেতাজির ব্যাপারে জানতে পেয়ে যাওয়ায় নেহেরু তাকে তৎক্ষণাৎ সোভিয়েত দেশ থেকে সরিয়ে দেন ও সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ কে সোভিয়েতের রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করেন। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সাথে নেহেরুর সখ্যতা সর্বজন বিদিত। ১৯৫১ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারী স্তালিনের সাথে দেখা করতে যান এদেশের কমিউনিস্ট নেতারা যে সদস্য দলে ছিলেন শ্রীপাদ অমৃত দাঙ্গে , চন্দ্র রাজেশ্বর রাও , মাকিনেইনি বাসাভাপুনিয়া , অজয় ঘোষ ও অরুণা আসাফ আলীর মতো নেতৃত্ব। স্তালিনের সাথে আলাপচারিতায় বার বার উঠে আসে সুভাষের প্রসঙ্গ , উঠে এসেছিলো সুভাষের সোভিয়েত আশ্রয়ের বিষয়টা। পুরো বিষয়টাই এদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা অবগত ছিলেন কিন্তু এদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের সাথে নেহেরুর সখ্যতা কখনোই পছন্দ করতেন না স্তালিন।স্তালিন এদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের আচার আচরণকে কমিউনিস্ট পার্টি গ্রেট ব্রিটেনের ( CPGB ) মতন বলে কটাক্ষ করেছিলেন। KJB File no – R.G.ASPIF.opp -11D.310.II.71-86 (ফাইল অফ রাশিয়ান স্টেট আর্কাইভ অফ সোশ্যাল ও পলিটিকাল হিস্ট্রি )
স্তালিন চাইলেও এদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা নেতাজির ব্যাপারে উদাসীনতা দেখিয়েছিলেন। কমিউনিস্ট পার্টি কোনোদিনই চায়নি নেহেরু যাতে পররাষ্ট্র নীতি মেনে সোভিয়েতের সাথে আলোচনা করে নেতাজিকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করুক। অপরদিকে নেহেরুও কোনোদিন চাননি নেতাজি সুভাষ বোস দেশে ফিরে আসুক। ইতিহাস বড়োই নির্মম হয় , জয়দীপ বাবু বলেন যারা চক্রান্ত করেছিলেন তারা আজ ইতিহাস থেকে মুছে গেছেন , সব সত্য ক্রমস্য প্রকাশ করবো
চিত্র – ইন্ডিয়া গেটে সংস্কার করা সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউ, নেতাজি মূর্তি উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি