শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বলপ্রয়োগ করা চলবে না – শীর্ষ আদালত

SATYAM NEWS
এই মুহূর্তে বাংলার অবস্থা সুকান্তের কবিতার ভাষায় – ‘বিদ্রোহ চারিদিকে, বিদ্রোহ আজ।’ আর জি কর কাণ্ডে উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র চলেছে প্রতিবাদ মিছিল। সকলের কন্ঠে একটাই শ্লোগান – ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। এর মধ্যেই ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সমর্থকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশ লাঠি চালিয়েছে বলে অভিযোগ। আরজি করে চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণ, এসবের মধ্যে রাতে হাসপাতালের হামলার ঘটনা নিয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য। পথে নেমেছেন সমাজের সব অংশের মানুষ। স্লোগান উঠেছে মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগের। সাধারণ নাগরিকদের এই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের ওপর বার বার নেমে আসছে প্রশাসনের বল। রবিবার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে মার খেতে হয়েছে কলকাতার তিন প্রধান ফুটবল ক্লাবের সমর্থকদের। সাধারণ কোনো মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করতে পারে। এই প্রতিবাদ গণতন্ত্রের অঙ্গ।
জলপাইগুড়িতে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে গ্রেপ্তার হতে হয়েছে কয়েকজন বিজ্ঞানী। মাঝরাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এসএফআই, ডিওয়াইএফআই কর্মীদের। লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছে মীনাক্ষী মুখার্জি সহ সাতজন ছাত্র যুবদের। দীনহাটায় নাগরিক মিছিল চলাকালিন হয়েছে হামলা। অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের বিরুদ্ধে। কয়েকদিন আগে দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ মন্তব্য করেন যে, যারা মমতা ব্যানার্জির দিকে আঙুল তুলছে, তাদের আঙুল ভেঙে দেওয়ার সময় এসেছে।
এদিন শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলা হয় যে, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্তব্য আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা। হাসপাতালের যেই জায়গায় এই ঘটনা ঘটেছে তা সুরক্ষিত রাখাও তাদের কর্তব্য। কিন্তু সরকার তা করতে ব্যার্থ হচ্ছে।’’ এই পরিস্থিতিতে আদালতের স্পষ্ট কথা, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও বাক স্বাধীনতা মানুষের আছে। সে ক্ষেত্রে পুলিশ দিয়ে শক্তি প্রদর্শন করা চলবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *