‘মানকচু’ কিন্তু অবহেলার জিনিস নয়, রান্না ঘরে মাঝে মাঝে অবশ্যই রাখবেন মানকচু
মাটির তলার সবজির মধ্যে আলু যেমন একটা বেশ অভিযাত সবজি, কচু কিন্তু অনেকটাই তার বিপরীত। কচু বাঙালির পাতে কিছুটা ব্রাত্য। কিন্তু এর পুষ্টিগুন প্রচুর। অনেকেই ভাবেন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মাটির নীচের সবজি মোটেও ভাল নয়। তবে মানকচু সুগার রোগীদের জন্য খুব ভাল। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে মানকচু। মানকচুর মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, ফসফরাস, ক্যালশিয়াম। যা শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায়, সেই সঙ্গে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য। এছাড়াও ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে মানকচু।
এখানেই শেষ নয়, পুষ্টি বিশেষজ্ঞারা গবেষণার পড়ে জানাচ্ছেন, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে মানকচু। এছাড়াও রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। সেই সঙ্গে এই কচুর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবারও। ওজন কমাতে খুব ভাল কাজ করে মানকচু। মানকচুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ক্যানসার বৈশিষ্ট্য। যা কোলন ক্যানসার রুখতে সাহায্য করে। মানকচুর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রাখতেও খুব ভাল কাজ করে মানকচু। মানকচুর মধ্যে রয়েছে ডায়োসজেনিন নামের একটি যৌগ। যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। তাই মানকচুকে অবহেলা না করে মাঝে মাঝে খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখুন মানকচুকে।