চন্দন নগরে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে গঙ্গা আরোতি
একটা সেকুলার দেশে সরকারি খরচায় কোনো ধৰ্মীয় অনুষ্ঠান হওয়া উচিত কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক করবেন সংবিধান বিশেষজ্ঞারা। আমাদের আজকের অফবিট নিউজ চন্দন নগরে গঙ্গা আরতি। বারাণসীতে যেমন গঙ্গার ঘাটে আরতি হয়। এদিন রানিঘাটেও সেই ছবি দেখা গেল। শ্রাবণে তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলা হয়। লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড় হয় এখানে। প্রথা মেনে বৈদ্যবাটি নিমাইতীর্থ গঙ্গার ঘাট থেকে জল নিয়ে বাঁক কাঁধে ভক্তরা তারকেশ্বরের পথে ছোটেন। কাঁধে বাঁক, মুখে ‘ভোলে বাবা পার করেগা’। এই ঈশ্বর ভক্তি নিয়েই মানুষ বহুকাল ধরে শ্রাবণ মাসে মহাদেবের আরাধনা করে আসছেন।
শনিবারের ওই ধৰ্মীয় তথা সামাজিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, বেচারাম মান্নারা। কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, “আমাদের রাজ্যের ১৩টি বিভাগের সচিবদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। এবার আমরা গঙ্গা আরতি করলাম। অনলাইনে দেশবাসী দেখল। তারকেশ্বরে আমাদের একটি সংগ্রহশালাও করা হয়েছে। একটা নতুনত্ব হল।” বহু দিন ধরে এই শ্রাবণী মেলা হচ্ছে। তবে গঙ্গা আরতি হয়নি কখনও। আবারই প্রথম। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায় শ্রাবণী মেলাকে কেন্দ্র করে গঙ্গা আরতির আয়োজন করে হুগলি জেলা প্রশাসন। একইসঙ্গে তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলা সংগ্রহশালার উদ্বোধন হয়। হুগলি জেলাশাসক মুক্তা আর্য জানান, শনিবার চন্দননগর রানিঘাটে গঙ্গা আরতি হয়েছে।