বেঙ্গল আয়ুষ মেডিকেল আলাইন্স এর পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান
২২ শে জুন বুধবার বেঙ্গল আয়ুষ মেডিকেল আলাইন্স -এর পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করা হয়। এই মর্মে এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে ১০ দফা দাবি সম্বলিত একটি ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়। প্রথমে তারা স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন তার পর তারা তাদের দাবি সম্বলিত ডেপুটেশনটি স্বাস্থ্য সচিবের কার্যালয়ে জমা করেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সরব হয়েছেন। এবার তারা একেবারে ১০ দফা দাবি নিয়ে হাজির হলেন স্বাস্থ্য ভবনে। আসুন তার আগে জেনে নি বেঙ্গল আয়ুষ মেডিকেল এলায়ন্স আসলে কি?
এটি হলো পশ্চিমবঙ্গ আয়ুষ পরিবারের বিভিন্ন সমমনোভাবাপন্ন সংগঠনগুলোর যৌথ মঞ্চ। তাদের বক্তব্য তারা সরকার কর্তৃক বঞ্চিত হচ্ছেন। তাদের প্রথম দাবি ” সম কাজে সম বেতন “দাবিটি যা মহামান্য সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় কর্তৃক আদেশাকৃত তা পূরণ করা হোক। তাদের দাবি ২০১৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত পঞ্চায়েত লেভেল আয়ুষ মেডিকেল অফিসার ও সি সি ডি গণের বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে। তারা বলেন আয়ুষ মন্ত্রককে স্বর্গীয় মন্ত্রী অজিত পাঁজা স্বাস্থ্য দপ্তরের অধীনে নিয়ে গিয়েছিলেন কিন্তু তার পর কোনো এক অজ্ঞাত কারণে তাদেরকে ‘ পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের অধীনে নিয়ে যাওয়া হয়।
তাদেরকে অবিলম্বে আবার স্বাস্থ্য দপ্তরের অধীনে নিয়ে যেতে হবে। গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যাবস্থার মেরুদন্ড হলো আয়ুষের বিভিন্ন ক্ষেত্র। বর্তমানে আয়ুষের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক শুন্য পদ পরে থাকায় জনগন আয়ুষের সেই শুনির্দিষ্টি চিকিৎসা পদ্ধতিতে চিকিৎসা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত থাকছে। দ্রুত সেই শুন্য পদ পূরণ করতে হবে। যারা ইতিমধ্যে অবসর নিয়েছেন বা ভবিষ্যতে নেবেন তাদেরকে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা করে সন্মানিক প্রদান করতে হবে যাতে তারা বাকি দিনগুলি খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে পারেন। সরকারি ডাক্তার কম্পাউন্ডাররা যে হরে ই এস আই দপ্তরের অন্তর্গত চিকিৎসা কেন্দ্র গুলোতে ভাতা পান পঞ্চায়েত লেভেল ডাক্তারদেরকেও সেই হরে ভাতা দিতে হবে।
অতীতে আয়ুষের একটি মাত্র শাখাকে সি এইচ ও পদে যুক্ত করা হয়েছে বাকি অন্যান্য শাখাকেও এর সাথে যুক্ত করতে হবে। তাদের দাবি তারা যেমন পূর্ণ সমকালীন স্থায়ী সরকারি অফিসারদের মতোই কাজ করেন তাই তাদের সরকারি অফিসারদের সমতুল্য সম্মান ও স্থায়ী ভাবে কাজের সুযোগ দিতে হবে। তাদের আরো অভিযোগ ট্রেজারিতে টাকা থাকা সত্ত্বেও প্রতি মাসে তাদের সন্মানিক পেতে ১০-২৫ তারিখ পর্যন্ত সময় লেগে যায়, ফলে তাদেরখুবই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ।
তাই তাদের এই দাবিদাওয়া গুলি যদি মাননীয়া মুখমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্য মন্ত্রী বিচার করে দেখেন তবে তারা খুব উপকৃত হন। তাদের এই দাবিদাওয়া সংক্রান্ত প্রতিলিপি তারা জমা দেন স্বাস্থ্য সচিব, ডাইরেক্টর জেনারেল অফ আয়ুষ, ডাইরেক্টর অফ হোমিওপ্যাথি, আসিস্টেন্ট ডাইরেক্টর অফ হোমিওপ্যাথি, ডাইরেক্টর অফ আয়ুর্বেদিক, পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের প্রধান সচিবকে। এখন শুধু দেখবার এই পঞ্চায়েত স্তরের আয়ুষ চিকিৎসকরা তাদের উপযুক্ত সম্মান ও তার পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত সব সুযোগসুবিধা আদায়ের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন কি না।