এককালে অদিতির ঘনিষ্ঠ বন্ধুও ছাড়লেন না অদিতিকে

SATYAM NEWS



অদিতি মুন্সী – এই নামটা এখন বিশেষভাবে জনপ্রিয় বাংলার রাজনীতিতে। তবে তাঁর প্রথম ও প্রধান পরিচয় ছিল – গায়িকা হিসাবে। এই মুহূর্তে তিনি দু’দিকে ভারসাম্য বজায় রেখেই চলার চেষ্টা করেছেন, তবে রাজনীতিকের দিকটাই ভারী। সে যাই হোক, আসল খবর হলো,বাংলা সারেগামাপা বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো। এখানেই একটি সিজনের প্রতিযোগী ছিলেন সৌম্য চক্রবর্তী এবং অদিতি মুন্সি। অদিতি মূলত ভক্তিগীতি গেয়ে দারুণ সাড়া ফেলেন বাংলার মানুষের মনে। তারপর সেই রিয়েলিটি শো শেষ হওয়ার পর বহু বছর কেটে গিয়েছে। আবার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কও বটে। আর সম্প্রতি তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আরজি কর নিয়ে তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল এবং মিটিংয়ে দেখা গিয়েছে। তারপরই তাঁকে রীতিমত একহাত নিলেন তাঁর এককালের বন্ধু এবং সহ প্রতিযোগী সৌম্য চক্রবর্তী। সৌম্য ছিলেন অদিতির ঘনিষ্ঠ বন্ধু। দুজনের বন্ধুত্ব ছিল বেশ নিবিড়। সেই সৌম্য হঠাৎ করেই কিছুটা ক্ষুব্ধ অদিতির উপর।

সারা বাংলার মতো সৌম্যও আর জি করের প্রতিবাদে পথে নেমেছেন। সৌম্য এদিন ফেসবুকের পাতায় অদিতি মুন্সিকে কটাক্ষ করে লেখেন, ‘অদিতি মুন্সিটা কে? আমি যাকে চিনতাম সেই সা রে গা মা পা এর উনিই কি? উনি তো কলকাতার সঙ্গীত সম্রাজ্ঞী ছিলেন!’ তিনি আরও লেখেন, ‘আজকাল কি গানবাজনা ছেড়ে পলিটিক্স করেন? ঠিক জানি না আসলে! বার বার নিউজ ফিডে আসছে, একটু বলো তো সবাই, আমি সত্যিই চিনতে পারছি না।’ স্বাভাবিক কারণেই এই মন্তব্যের সমর্থনে প্রচুর মন্তব্য এসেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, “ইনিই আবার কপালের তিলক কেটে স্টেজে উঠে জ্ঞান দিয়ে থাকেন, কি যে যন্ত্রণার মধ্যে আছি কি বলব।” কেউ লিখেছেন,’তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, ‘আমিও চিনতে পারছি না দাদা। কারণ মুখোশের আড়ালে থাকলে এই রকম মানুষদের চেনা ভীষণ দায়।’ এভাবেই ভরে উঠছে সৌম্যর ফেসবুক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *