গরমে গ্যাস-অ্যাসিডিটির হাত থেকে মুক্তি পেতে কিছু খাবার এখন বর্জন করুন

SATYAM NEWS



কিছু ব্যক্তির কাছে গ্যাস, অ্যাসিডিটি হল রোজকার অশান্তি। প্রতিদিনই তাঁরা এই সমস্যায় জর্জরিত হন। এই কারণে বাড়িতে মজুত করে রাখেন অ্যান্টাসিড। তবে নিয়মিত অ্যান্টাসিড খাওয়া কিন্তু কোনও কাজের কথা নয়। এতে দেহের নানাবিধ ক্ষতি হতে পারে। এমনকী পাকস্থলী, লিভারে চাপ পড়ে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ধরনের ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতানুযায়ী, নিয়মিত গ্যাস, অ্যাসিডিটি হলে খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে খাদ্যতালিকা থেকে এমন কিছু খাবার বাদ দিতে হবে যা সমস্যার কারণ। তাহলেই গ্যাস, অম্বলের প্রকোপ অনেকটাই কমানো যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন,৫ ধরনের খাদ্য এই গরমে এড়িয়ে যেতে হবে –

১) কপি – ফুলকপি, বাঁধাকপি খেতে কি খুবই পছন্দ করেন? রোজই এই ধরনের সবজির পদ খেতে অভ্যস্ত? উত্তর হ্যাঁ হলে, সমস্যার বীজ কিন্তু লুকিয়ে রয়েছে সেখানেই। এই ধরনের খাবারে আছে অনেকটা পরিমাণে ব়্যাফাইনোজ এবং ফাইবার। এই দুই উপাদান কিন্তু গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি করতে পারে। তাই নিয়মিত ফুলকপি, বাঁধাকপি খাওয়া চলবে না।

২) আটা – বার্লি – গোটা দানাশস্য দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই ধরনের শস্যতে কমপ্লেক্স কার্ব থাকে। ফলে দেহে তা সহজে গৃহীত হয় না।

গ্যাস, অ্যাসিডিটিতে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের গোটা দানা শস্যও মেপে খেতে হবে বলে জানাচ্ছে মেডিক্যাল নিউজ টুডে। বিশেষত, আটা, বার্লি, রাইয়ের মতো শস্য খাওয়া চলবে না।

৩) পেঁয়াজ – বাঙালির তো পেঁয়াজ না খেলে দিন কাটে না। আমিষ রান্নাতে এর বহুল ব্যবহার। এমনিতে পেঁয়াজ ভীষণই উপকারী এক ভেষজ। তবে গ্যাস, অ্যাসিডিটি আক্রান্তের পেঁয়াজ যতটা সম্ভব কম খাওয়াই মঙ্গল। এতে থাকা ফ্রুকটোজ অনেকসময় সঠিকভাবে হজম হয় না। এই কারণেই অত্যধিক গ্যাস তৈরি হয়।

৪) দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য – দুধে থাকে ল্যাকটোজ নামক একটি উপাদান। এই উপাদান কিন্তু সকলে সহ্য করতে পারেন না। ফলে তৈরি হয় গ্যাস ও অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ গ্যাস, অ্যাসিডিটি আক্রান্তই কিন্তু দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার সহ্য করতে পারেন না। তাই তাঁদের এই ধরনের খাবার এড়িয়ে যেতে বলা হয়।

৫) মদ্যপান – মদ্যপান শরীরের জন্য খুবই খারাপ। তাই মদ্যপান যতটা সম্ভব এড়িয়ে যেতে হবে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, নিয়মিত মদ্যপান করা ব্যক্তিদের গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়। এছাড়া প্রায়শই সোডা বা কোল্ড ড্রিংকস খেলেও এই ধরনের সমস্যার উৎপাত বাড়তে পারে। তাই এই ধরনের পানীয় থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *