ভারতের একমাত্র গ্রাম যেখানে এখনও সকলের মাতৃভাষা ‘সংস্কৃত’
ইন্দো-ইরানীয় ভাষা গোষ্ঠীর অন্যতম ভাষা আর্য ভাষা বা সংস্কৃত ভাষা। ভারতের অধিকাংশ ভাষার সৃষ্টি কিন্তু সংস্কৃত ভাষা থেকে। সংস্কৃত ভাষাকে ‘প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা’ বলা হয়। তারপরে মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার পথ অতিক্রম করে আনুমানিক দশম শতাব্দীতে নব্য ভারতীয় আর্য ভাষার জন্ম হয়। এই দীর্ঘ বিবর্তনের পথ অতিক্রম করতে গিয়ে এখন আর সংস্কৃত ভাষা কারোর কথ্যভাষা বা মাতৃভাষা নেই। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এখনও কর্ণাটকের শিবামোগ্গা অঞ্চলে রয়েছে মাত্তুর গ্রাম। এই গ্রামে সংস্কৃত হল প্রধান ভাষা। আজও এখানে নতুন প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীদের সংস্কৃত চর্চা করতেই হয়। সেটাই এই গ্রামের রীতি। আর সেই গ্রামের সকলের মাতৃভাষাও সংস্কৃত ভাষা।
কন্নড় ভাষা জানলেও মাত্তুর গ্রামের বাসিন্দারা সংস্কৃতকেই তাঁদের প্রধান ভাষা বলে মনে করেন। সেটাই তাঁদের মাতৃভাষা। গ্রামের সকলে সংস্কৃতেই নিজেদের মধ্যে কথা বলেন।
সংস্কৃত ভাষা নিয়ে পড়াশোনা এ গ্রামের প্রতিটি পড়ুয়ার জন্য বাধ্যতামূলক। বলা যায় ভারতের একমাত্র সংস্কৃত ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখা গ্রাম এটি। যে ভাষা কার্যত লুপ্তপ্রায় বলাই ভাল, দৈনন্দিন জীবনে যার ব্যবহার দেশের সব প্রান্তের মানুষের কাছেই অবাস্তব, সেখানে মাত্তুর গ্রাম কিন্তু এই ভাষাকেই বাঁচিয়ে রেখেছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে। হয়তো মাত্তুরের হাত ধরেই সংস্কৃত হারিয়েও হারিয়ে যাবেনা ভারত থেকে। এই গ্রামই ধরে রাখবে কয়েক হাজার বছর আগের সংস্কৃত ভাষাকে।